নীলফামারীতে ফেইসবুকের ভুয়া আইডি দিয়ে স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের ফাদে ফেলে অপহরন করে দুষ্কৃতিকারীরা, নীলফামারী থানা পুলিশের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় অপহরণকৃত স্কুল ছাত্রী তাসনিম (ছদ্মনাম) উদ্ধার করে পুলিশ।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট নীলফামারী থানাধীন সংগলশী ইউনিয়নের জনৈক হাসান(ছদ্মনাম) থানায় অভিযোগ করেন তাহার মেয়ে তাসনিম(ছদ্মনাম)কে অজ্ঞাত অপহরনকারীরা অপহরন করে নিয়ে গেছে। বিভিন্নভাবে খোজখবর করেও তাহার মেয়ের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এরুপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়ের হয় মামলা নং-২৮(০৮)২০২০।
সুত্রমতে আরো জানা যায়, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম এর নির্দেশনা মোতাবেক সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান অপহরণকৃত স্কুল ছাত্রী তাসনিমকে উদ্ধারের জন্য একটি চৌকস টিম গঠন করেন।
প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের বন্ধু-বান্ধবসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের উপর নজরদারির মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তের এক পর্যায়ে জানা যায় ফেসবুকে ভূয়া আইডিতে পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভনের দ্বারা অজ্ঞাত অপহরনকারীরা কৌশলে একটি প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যায় তাসনিমকে।
নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা তাসনিমকে উদ্ধারের জন্য একাধিক টিম গঠন করি। জেলার সম্ভাব্য স্থানসমূহ সহ সিরাজগঞ্জ, গাজিপুর, টঙ্গী সহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত এস আই শাহারুল ইসলাম সঙ্গিয় র্ফোসসহ ছদ্মবেশ ধারণ করে বি-বাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা থেকে তাসনিমকে উদ্ধার করে। ভিকটিমের মেডিকেল টেস্টসহ প্রয়োজনীয় আইনগত বিষয়সমুহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম বলেন, অপহরন কারিরা তাসনিমকে নিয়ে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় এক পর্যায়ে তাসনিমকে উদ্ধার করা দুরুহ হয়ে পড়ে তবুও হাল ছাড়েনি থানা পুলিশ। অবশেষে একটানা চার দিন অভিযান পরিচালনা করে রবিবার (২৩ আগস্ট) বি-বাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা থেকে তাসমিকে উদ্ধার করা হয়।