জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর এলাকার রবিউল আলম লিটনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২২) কে জামাই কর্তৃক হত্যা করা হয়।
এবিষয়ে থানায় হত্যা মামলা হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অবিলম্বে মেয়ে হত্যার আসাদিরে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচারের আশায় পরিবারের লোকেরা শুক্রবার দুপুরে পাঁচবিবি প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলেন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের সময় নানীর কোলে থাকা ছোট শিশু সাদও তাঁর মায়ের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার দেখতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের বাবা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৬ই আগষ্ট রাতে আবারও যৌতুকের পাঁচ লক্ষ টাকার জন্য মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে। মেয়ে গলাঁয় ফাঁস দিয়েছে বলে জামাই আমাকে ফোনে জানায়।
এসময় মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আমার মেয়ে সুমাইয়া মারা যায়। মেয়ে হত্যা ঘটনায় আমি বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় জামাই জনি ও তার ছোট ভাই মেহেদী হাসানকে আসামি করে গত ১০ আগষ্ট/২০ একটি হত্যা মামলা দায়ের করি (মামলা নং-১১/৩৭৫)। মামলা করার পর থেকে আসামিরা ও তাদের একটি পক্ষ মামলা তুলে নিতে মুঠোফোনে আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
আমি এ হত্যা কান্ডের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন ও সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনসুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিঁনি জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামি গ্রেফতারের জোড় তৎপরতা চলছে।