কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের ফুলখাঁ মুজাহিদ পাড়ায় ঈদের দিন বাদ মাগরিব পূর্ব শক্রতার জের ধরে কথা কাটির একপর্যায়ে বিবাদী সাইফুল হাজী গংরা পার্শ্ববতী মৃত খতিব উদ্দিনের পুত্র আক্কাস আলী (৩০), চাঁদ মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া (১৭) কে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
পরে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্হায় রাত ১ঘটিকার দিকে আক্কাস আলী মারা যায়।
বর্তমানে সুমন মিয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঈদের দিন বাদ মাগরিব হামলার পরপরই রাত ৮ ঘটিকার দিকে আক্কাস আলী ও সুমন মিয়া মারা গেছে এ গুজব ছড়িয়ে এলাকার কিছু দুর্বৃত্তরা সংঘটিত হয়ে বিবাদী সাইফুল হাজী গংদের ভাই ও ছেলের পাঁচটি পৃথক বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, গরু- ছাগল, ধান – চাল সুপারি- পাটসহ বাড়ীর আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
একাধিক লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ৫ টি পরিবারের ঘরে সব জিনিস লুটপাট হয়েছে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে সব কিছু পড়ে আছে এমনকি শয়ন ঘরে খাট পর্যন্ত নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। ওই বাড়িগুলোতে এখন ভুঁতরে অবস্হা বিরাজ করছে।
থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিবাদী সাইফুল হাজী’র বাড়ীর উঠানে পুলিশি প্রহরা দিতে দেখা গেছে। শনিবার দিবাগত রাতে রাজারহাট থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করার খবর নিশ্চিত করেছেন রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাজু সরকার।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি তদন্তপূর্বক ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন। অযথা কোন ব্যক্তিকে হয়রানি না করার জন্য আহ্বান করেছেন।