১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

ধোবাউড়ায় ৫০শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্স চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায়, লাখ,লাখ মানুষের চিকিৎসার জন্য উপজেলা সরকারি হাসপাতালটি একমাত্র ভরসা ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডাঃ ও নার্সের সঙ্কট। ফলে অপেক্ষা করতে হয় দিনে পর দিন থাকতে হয় দূর-দূরান্তের রোগীদের।

হাসপাতালটিতে এক্সরে, ইসিজি ও আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিন সব কয়টি বিকল। জনবল সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কার্যক্রম। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

রোগ নির্ণয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালে ভর্তি হলে কোন ঔষধও পাওয়া যায়না।স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে বেহাল দশা! কাগজে কলমে কর্মরত চিকিৎসকগন থাকলেও হাসপাতালে নেই উপস্তিত।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের চিকিৎসা করার দায়িত্বে কাগজে কলমে পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাসহ ১১ জন মেডিকেল অফিসার থাকলেও,প্রতিদিন সাস্হ্য কমপ্লেক্সে উপস্হিত থাকে ২ থেকে ৩জন। ৮জন চিকিৎসক’ই থাকেন অনুপস্থিত। এতে চরম বিপাকে পড়ছেন,রোগীরা। ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে সমালোচনার তীব্র ঝড় বইলেও টনক নড়েনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের। দায়িত্বরত ২ থেকে ৩ জন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে মহামারী করোনার সামাজিক দুরত্ব ছাড়াই চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ভীড় করে চিকিৎসা নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

অনেকই চিকিৎসক না পেয়ে চাপা ক্ষোভ নিয়ে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়াও বারবার অবমাননা করা হচ্ছে জাতীয় পতাকা।পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলার কারণে টানানো হচ্ছে না জাতীয় পতাকা।

রক্তের বিনীময়ে অর্জিত জাতীয় পতাকা পেলে রাখা হয় ময়লা আবর্জনায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জরুরী বিভাগে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে রোগীদের সার্জারী। আউটডোরে চিকিৎসকের কক্ষও রয়েছে তালাবদ্ধ। হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাদরে বালিশ ব্যতীত শুয়ে আছেন বেশীরভাগ রোগী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে ডেলিবারী করা এক রোগী অভিযোগ করে বলেন, লেবার ওয়ার্ডে ডেলিবারী করতে চিকিৎসকেরা রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে চিকিৎসায় হয় অবহেলা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক কর্মচারী জানান, সপ্তাহে ২-৩ দিন হাসপাতালে আসেন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হাসান শাহীন। এছাড়াও কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ কনক দে, ডাঃ মিজানুর রহমান, ডাঃ আতাউর রহমান খান সবুজসহ ডাঃ মাহবুবা আজমেরী জেরিন মাঝে মধ্যে সপ্তাহে দু-একবার আসেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এসে হাজিরা খাতায় একদিনে সব স্বাক্ষর দিয়েই চলে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মাঝে ৬ ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা ৬ জন মেডিকেল অফিসার মাসে একবারও যান না ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও হচ্ছে না সরকারি স্বাস্থ্য সেবা। চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দরিদ্র অসহায় মানুষ। কর্মরত চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা আবু হাসান শাহীন এর অফিস কক্ষে গিয়ে দেখা যায় অফিসে নেই। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,মাঠে কাজ করার জন্য অফিস থেকে বের হয়েছেন। সত্যতা যাচাই করতে তার ব্যক্তিগত গাড়ীর ড্রাইবারকে কল দেওয়া হলে ড্রাইবার জানায়, ময়মনসিংহে নিজ বাসায় যাচ্ছেন।

এ ঘটনায় সিভিল সার্জন ডা. মশিউল আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম বলেন, পতাকা অবমানার বিষয়টি আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি! তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(Visited ২৮ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

হযরত খাজাবাবা (রঃ) ও জামে আওলিয়া কেরামের পথ পূণরুদ্ধার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল আলিম এর সহধর্মীনি নুরজাহান বেগম আর নেই
ফজলে রাব্বীর আসনে নৌকার হাল ধরতে চান যারা
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
এমপির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কিল-ঘুষির অভিযোগ
বঙ্গবন্ধুর সমাধীস্থলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের শ্রদ্ধাঞ্জলী