রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে মুগদা থেকে ফুট ওভার ব্রিজের ওপর খোলা আকাশ। স্ট্রাকচার করা থাকলেও ছাউনি নেই। প্রতিদিন এই ফুট ওভার ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করেন হাজার-হাজার পথচারী। ঝড় বৃষ্টি, দমকা হাওয়া, প্রখর রৌদ্রময় সময়ে পথচারীদের চলাচলে সীমাহীন কষ্ট ও দূর্গোতি পোহাতে হচ্ছে এই ফুট ওভারব্রিজে।
শীতকালে কুয়াশা হিমেল শীতল হাওয়া মানুষের দূর্ভোগের যেন শেষ নেই। সকালবেলা শতশত গার্মেন্টস কর্মীদের ফুটওভার ব্রিজে চলাচল যেন নিত্য দিনের সাথী। এবং সারাদিনই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের চলাচল রয়েছে এই ফুটওভার ব্রিজে। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ ফুটওভার ব্রিজটিতে নেই ছাউনি।
এই বিষয়ে কথা হলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া বলেন, বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, সচিব ও বাংলাদেশ রেলওয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সবিনয় নিবেদন জনস্বার্থে এই ফুটওভার ব্রিজে ছাউনি দিয়ে জনদূর্ভোগ কমিয়ে আনার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনসাধারণকে সেবা দিন।
তিনি আরো বলেন,আমি নিজে কয়েকদিন আগে এই ফুটওভার ব্রিজে বৃষ্টিতে ভিজে সয়লাব। আমি কমলাপুর রেলস্টেশনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।তারা আমার সামনেই এই কাজটি সমাধানের জন্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোনে উদ্যোগ নিতে বলেছেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হামিদ পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মুগদা এলাকায়, এই ফুট ওভার ব্রিজ পার হয়ে প্রতিদিন অফিসে যান এবং অফিস থেকে বাড়িতে ফিরেন। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে আমি বেশ কয়েকবার এই ব্রিজের উপরে উঠে বৃষ্টিতে ভেজার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। কারণ হচ্ছে ব্রিজের উপরে বৃষ্টির কবলে পড়লে দাঁড়ানোর কোন জায়গা নাই। তাই আমি সহ সকল পথচারীদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এই ব্রিজের উপর ছাউনি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।