২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

মুরাদনগরের অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি হতে বঞ্চিত

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক কলেজেই ৩শতাধিক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এতে করে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আর এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার রামচন্দ্রপুর অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের প্রায় ৩শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজ কর্তৃপক্ষের কারনে সরকারি উপবৃত্তি হতে বঞ্চিত হয়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থী ও নি¤œ আয়ের পরিবারের অভিভাবকদের মাঝে এ নিয়ে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

এ বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ একটি পরিপত্র জারি করে যাহার স্বারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৮১.৪৩.০০১.১৮.১০১ কর্তৃক ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত একাদশ শ্রেনীর উপবৃত্তি প্রাপ্য শিক্ষার্থীর হার ও নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ করে। উক্ত পরিপত্রের আলোকে ১৯জুলাই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেনীতে মোট ভর্তিকৃত ছাত্রদের মধ্যে ২০% এবং ছাত্রীদের মধ্য হতে ৪০% উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্য। এবং এ হারে শিক্ষার্থী বাছাই ও নির্বাচন তালিকা প্রণয়নের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতাভুক্ত কলেজ-মাদ্রাসা এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট বিজ্ঞপ্তি প্রেরন করা হয়।

পরিপত্রে আরো জানানো হয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত উপবৃত্তি প্রাপ্তদের টিউশন ফি মওকুফ থাকবে।

উপবৃত্তি প্রাপ্তদের নিকট কোন ভাবেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিউশন ফি আদায় করতে পারবে না। সরকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি প্রাপ্তদের টিউশন ফি ভর্তুকি প্রদান করবে। আর এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ ভাবে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছিল। যেন কোন প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের নিকট টিউশন ফি আদায়ের অজুহাতে কোন দরিদ্র শিক্ষার্থী যাতে উপবৃত্তি হতে বঞ্চিত না হয়। অথচ তার উল্টো আব্দুল মজিদ কলেজ তারা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টিউশন ফি আদায়ের লক্ষে উপবৃত্তির তালিকা নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এই কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থীর নাম জমা দেননি। উপবৃত্তি পেলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর একজন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দুই বছরে ১৪৫২০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী জনপ্রতি পাবে দুই বছরে ১২৩৬০ টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, এই কলেজ থেকে সরকারি অর্থিক সহায়তার উপবৃত্তি তালিকা তৈরী করে জমা না দেয়ার ফলে কলেজ নির্ধারিত বেতন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিকট কলেজ কর্তৃপক্ষ আদায় করে নিচ্ছে। বিশেষ করে দু:স্থ ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান এই সরকারি আর্থিক সহায়তার বঞ্চিত হওয়াতে এটা অমানবিক কাজ করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যা তদন্ত করে পুনরায় তালিকা প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে অনেক দরিদ্র অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদাউস আহমেদ চৌধুরী বলেন, এই কলেজটি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এ জেলায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা কলেজের পক্ষ থেকে আসন বৃদ্ধি করেছি। কিন্তু এমপিও ভুক্ত শিক্ষক রয়েছে ১৪ জন। প্রায় ৯শ’ শিক্ষার্থীর জন্য তা যতেষ্ট নয়। বর্তমানে ১৮ জন খন্ডকালিন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বেতনের অংশ থেকেই অস্থায়ী শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, উপবৃত্তি না দেওয়ার বিষয়টি আমি জানতাম না। আর একবারেই কোন প্রতিষ্ঠান ইচ্ছে করলেই সকল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি থেকে বাদ দিতে পারবে কি না এ ধরনের ধরনের নীতিমালা আমার জানা নেই। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। যদি নিয়মবহির্ভূত ও সরকারি আদেশ অমান্য করে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি হতে বঞ্চিত করা হয় তাহলে ওই কলেজের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(Visited ২৭ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

হযরত খাজাবাবা (রঃ) ও জামে আওলিয়া কেরামের পথ পূণরুদ্ধার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল আলিম এর সহধর্মীনি নুরজাহান বেগম আর নেই
ফজলে রাব্বীর আসনে নৌকার হাল ধরতে চান যারা
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
এমপির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কিল-ঘুষির অভিযোগ
বঙ্গবন্ধুর সমাধীস্থলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের শ্রদ্ধাঞ্জলী