গাইবান্ধায় ছাত্রী ধর্ষণের পর এবার গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে তার নিজ বাসা লক্ষীপুরের ল্যাংগা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ ইউনিয়ন পরিষদে ন্যাশনাল সার্ভিসের জন্য প্রত্যয়ন পত্র আনতে গেলে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও ধারণ করে। এরপর ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১১ই নভেম্বর লক্ষীপুরের বামুনি পাড়ায় নির্যাতিতা ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে আবারো জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান বাদল। পরে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে এবং মামলা না করতে নির্যাতিতার সাথে আপস মিমাংসার জন্য বিভিন্ন দেনদরবার করতে থাকে চেয়ারম্যান এর লোকজন। মঙ্গলবার বিকেলে ওই গৃহবধূ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দাখিল করলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় রাত ১২ টার দিকে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর সাথে কথা হলে তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত চেয়ারম্যান এর দৃষ্টান্ত মূলক শান্তি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৬ সালে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। যে মামলাটি এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।