ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন সানন্দখিলা গ্রামের এক কিশোরী(১৬) ধর্ষণের শিকার। জানা যায়, গত ৫ মে ২০২০ তারিখে দারিদ্রতার কারনে ঐ কিশোরীর পিতা, ৩ হাজার টাকা মাসিক বেতনে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে অভাবের তাড়নায় হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তর খয়রাকরী গ্রামের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেন তার পরিবার।
দুই দিন পর থেকে তার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পরিবারটি। ১৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় কিশোরীর বাবা সংবাদ পান তার মেয়েকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যাবসা করাচ্ছে আঃ বারেক মীর(৫১) ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুন (৩৫)। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা ধোবাউড়া থানা পুলিশ কে সংবাদ দিলে রাতেই ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থানার যৌথ অভিযানে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং আঃ বারেক মীর ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুনকে আটক করে ধোবাউড়া থানায় নিয়ে আসে।
ভিকটিম জানায়, কাজে নেওয়ার দুদিন পর থেকে আটকে রেখে জোর পূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে আঃ বারেক মীর। এছাড়াও বহিরাগত লোক দিয়ে ভয়ভীতি, জবরদস্তি ও প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যাবসা করতে বাধ্য করে করত। এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছি এবং অভিযুক্ত আঃ বারেক মীর ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।