“বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ, এ হিসেবেই পরিচালিত হবে। এদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে” বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি দল আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা উঠেছে। আমি একটা কথা বলবো, মুসলমান হিন্দু সবাই মিলে এই দেশে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এই মাটিতে মুসলমান হিন্দু এক হয়ে সকলে যার যার ধর্ম নিয়ে থাকবে। আমাদের সবাইকে এক হয়ে থাকতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে সবাইকে সহনশীল হয়ে চলতে হবে।
সরকারকে জনগণের সেবক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার আসে। ২১ বছর পর এ দেশের মানুষ উপলব্ধি করলো সরকার জনগণের জন্য কাজ করতে পারে, জনগণের মঙ্গল করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত গড়ে তুলবো। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালাবো। শতভাগ মানুষ যেন ঘর পায় তার ব্যবস্থা করছে সরকার। আমি আওয়ামী লীগ নেতাদের বলবো আপনার মানুষের সেবা করুন। মানুষের সেবা করা আওয়ামী লীগের কাজ। আমরা সেই সেবাই করে যাচ্ছি। করোনা মহামারিতে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজ বাংলাদেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ করেছি। ২১০০ সালের বাংলাদেশের অগ্রগতির পরিকল্পনা দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে ইউনেস্কো। এটা আমাদের অর্জন।
চলমান মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ভ্যাকসিন আসার ব্যবস্থা করেছি। ইতোমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। তারপরেও সবাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। নিরাপদে থাকবেন।