ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা বাঘবেড় ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের বৃদ্ধ হাফিজা খাতুন(৭০) কে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তার পুত্রবধু রহিমা খাতুন। ৭ মাস ধরে অন্যের বাড়িতে থাকেন বৃদ্ধ হাফিজা খাতুন। জানা যায়, বৃদ্ধ হাফিজা বেগমের ছেলে হালিম উদ্দিনের সাথে একই গ্রামের রহিমা খাতুনের ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। পারিবারিক কলহের জেরে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের সংসারে ৩ সন্তান থাকায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হালিম উদ্দিনের মা ছেলের স্ত্রীকে আবার ঘর সংসারের প্রস্তাব দিলে ১৫ শতাংশ জমির বিনিময়ে আসতে রাজী হয়। শাশুড়ীও জমি দিবে বলে জানায়। এরপর ছেলে হালিম উদ্দিনকে দিয়ে আবার বিবাহ করায় এবং পুত্রবধু কে জমি দিতে গেলে পুত্রবধু কৃষি জমির পরিবর্তে প্রতারণা করে বসত ভিটা লিখে নেয়। পরবর্তিতে কয়েক মাস পর পুত্রবধু রহিমা খাতুন শাশুড়ীকে তার বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বৃদ্ধ অসহায় শাশুড়ী হাফুজা খাতুন এখন সর্বশান্ত হয়ে ৭ মাস ধরে অন্যের বাড়িতে বসবাস করছে। এ ব্যাপারে রহিমার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার শাশুড়ী আমার কাছে বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে সে কোথায় থাকবে আমি বলতে পারি না। বৃদ্ধার ছেলে হালিম উদ্দিন জানান, আমি মূর্খ মানুষ, দলিল লেখক খোকন সরকার আমার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা খেয়ে আমার মায়ের সাথে প্রতারণা করেছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ রব্বানী সুমন বলেন, আমি গ্রামের স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একাদিকবার শালিস করে ছেলে বউকে বসত বাড়ির পরিবর্তে অন্যত্র জমি দেয়ার কথা বললে ছেলের বউ রাজি হয়নি। এমত অবস্থায় অসহায় বৃদ্ধ হাফিজা খাতুন বসত বাড়ি ফিরে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।