কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাটুয়ামহল গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিন এর ৭ম শ্রেনীর স্কুল পড়ুয়া কন্যা(১৪) কে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি করে ধর্ষন করে আসছেন একই গ্রামের খগেন বর্মনের পুত্র মৃনাল বর্মন।
শনিবার দিবাগত রাতে মেয়ের নানা বাড়ি ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপির কিসামত নাখেন্দা এলাকায় গিয়ে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক ছিল।মেয়েটির বাবা তাদের এই অনৈতিক সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় ছেলেটিকে তার মেয়ের সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করেন। মেয়েটির বাবা মুসলিম উদ্দিন ছেলেটি কে বলেন মুসলিম মেয়ে হিন্দু ছেলের এই সম্পর্ক সমাজ মেনে নিবেনা তাই ভবিষ্যতে যেন তার মেয়ের সাথে কোন যোগাযোগ করা না হয়।এতে মৃনাল বর্মন ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটির বাবাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মেয়েটির বাবা মুসলিম উদ্দিন মাঠিতে লুঠিয়ে পড়ে,পরে স্থানীয়রা মুসলিম উদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মুসলিম উদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে মৃনাল বর্মন কে প্রধান আসামি করে রাজারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন প্রায় দেড় বছর আগে।
আসামি মৃনাল বর্মন ১০/১১ মাস কারাভোগ করে উচ্চ আদালতে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসে পূণরায় মেয়েটিকে নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্বার্শবতি এক মহিলার সহযোগিতায় ধর্ষনের চেষ্টা করে আসছে। গতকাল ১২ই ডিসেম্বর শনিবার মেয়েটি মৃনালের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপির কিসামত নাখেন্দা নানা বাড়িতে বেড়াতে আসলে ছেলেটি মেয়েটির গতিবিধি পূর্ব থেকে পর্যবেক্ষণ করেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি ফাঁকা পেয়ে মৃনাল বর্মন মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। মেয়েটির আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মৃনাল বর্মন কে আটক করে রাখে। পরে মেয়েটির সাথে কথা হলে সাংবাদিকদের জানান আমার বাবার হত্যাকারী মৃনাল বর্মন জেল থেকে বেড়িয়ে এসে আমার মাকে বাবার মত মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে আসছেন। আমি আমার মায়ের জীবন বাঁচাতে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি হয়ে ছিলাম ।মৃনাল বর্মন আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে আমার মতের বিরুদ্ধে ধর্ষন করতো। আমি এবং আমার মা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনের নিকট আমার এবং আমার মায়ের জীবনের নিরাপত্তা চাই। এবিষয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তপন চন্দ্রের সাথে কথা বলে জানা যায় ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ২৪ ঘন্টা অতিবাহীত করে,অজ্ঞাত কারণে ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত ছেলেটিকে থানায় নিয়ে আসে।