বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালে আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসছেন।
ওই বৈঠকে ৫৫ বছর পর নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত দিয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ উদ্বোধন হচ্ছে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দুই সরকার প্রধানের ভার্চুয়াল বৈঠকের নানা দিক তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মিটিং করবেন ভার্চুয়ালি। সেখানে একাধিক ইস্যু আলোচনা হবে। অনেকগুলো কুইক ইমপ্যাক্ট প্রজেক্ট উদ্বোধন হবে।”
নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের কুচবিহারের হলদিবাড়ির মধ্যে রেল সংযোগ দুই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর প্রথমে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এরপর মার্চে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈঠকে দুই দেশের দুই সরকার প্রধানের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচিত হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
“আমাদের বড় বড় ইস্যু, যেগুলো আমরা সবসময় তুলে থাকি, সেগুলো আমরা তুলব। পানি সমস্যা, আমাদের সীমান্ত অনিশ্চয়তা সেখানে তুলে ধরব। স্থল সীমান্ত, সমুদ্রসীমা ও পানি সমস্যা আমরা মোটামুটিভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছি। আরও কিছু যদি সমস্যা থাকে, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে ফেলব।” একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীও স্থান পাবে আলোচনায়।