হেফাজত নেতা আহমদ শফিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে মামুনুল হকসহ ৩৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহমদ শফির শ্যালক মাওলানা মাইনুদ্দীন বাদী হয়ে দায়ের করা এই মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আহমদ শফিকে হত্যার জন্য ১১ অক্টোবর ফটিকছড়িতে বৈঠক করে মামুনুল হক। এরপর ১৭ অক্টোবর হাটহাজারী মাদ্রাসায় ঢুকে আল্লামা শফিকে চরমভাবে মানসিক নির্যাতন করা হয়। এমনকি অসুস্থ আহমদ শফিকে চিকিৎসার জন্য মাদ্রাসা থেকে বের করে আনার সময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে দিয়ে তার মৃত্যু ত্বরান্বিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, হেফাজত নেতা শফির মৃত্যুর পর বিচার চেয়ে হেফাজতের নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তারা। এখন নিরুপায় হয়ে আদালতে আসছেন। তৃতীয় আমলী আদালত শিপলু কুমার দে’র আদালতে মামলা দায়েরের পর পিবিআইকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। আর এক্ষেত্রে এক মাসের সময় নির্ধারণ করে দেয় আদালত।
এর আগে হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয় নিয়ে হেফাজত নেতাদের মধ্যে মারাত্মক বিরোধ সৃষ্টি হয়। তার জের ধরে অপ্রীতিকর ঘটনায় অসুস্থ হয়ে ১৮ অক্টোবর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফি।
আহমদ শফিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন হেফাজতে ইসলামের একাংশের নেতারা। আল্লামা শফির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তারা।
১৬ ডিসেম্বর একটি আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘আহম্মদ শফির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।’ এসময় অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে সরকারের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন তিনি।