২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রলীগের দুই নেত্রীর মারের পর ঢাবি প্রক্টরকে আরেক নেত্রীর চিঠি

 

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও হলপর্যায়ের দুই জ্যেষ্ঠ নেত্রীর মারধরের শিকার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের নেত্রী সাবেক এজিএস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। চিঠি পেয়ে তাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রক্টর। 

২১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এলাকায় মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হল ছাত্রসংসদের সাবেক এজিএস ফাল্গুনী দাস তন্বীর। তাকে হামলায় অভিযুক্ত দুই নেত্রী হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন নিশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা। 

ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেত্রী বেনজীর জিয়াসমিন দাবি করেন, বেয়াদবি করায় তারা ফাল্গুনীকে শাসন করেছেন। 

ঘটনার জেরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানীকে চিঠি দিয়েছেন ফাল্গুনী। 

প্রক্টরকে দেয়া চিঠির বিষয়ে ফাল্গুনী বলেন, চিঠিতে ২১ ডিসেম্বর আমাকে মারধরে ঘটনাটি তুলে ধরেছি। আমাকে মারধর করা জিয়াসমিন বেনজীর ছাড়াও সহযোগী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহজালালের নাম উল্লেখ করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছি।  

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর চিঠি পেয়ে ওই ছাত্রীকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রক্টর বলেন, চিঠি গ্রহণের পর পরই দুজন সহকারী প্রক্টরের সঙ্গে তাকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কোনো কিছু সন্দেহজনক মনে হলে আমাদের জানাতে বলেছি। 

মারধরের ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিক কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করেনি। তবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন তারা ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করছেন।

মারধরের শিকার ফাল্গুনী দাস তন্বী ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি এবং শামসুন নাহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জেসমিন শান্তা ২১ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে যেতে বলেন।  

টেলিফোন পেয়ে আমি সেখানে গেলে তারা আমাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারতে উদ্যত হলে সেখান থেকে আমি দৌড়ে চলে আসি। তখন তারা আমাকে ধাওয়া করে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে ধরে ফেলেন। সময় তারা আমাকে উপর্যুপরি মারতে থাকেন। সময় তাদের সঙ্গে থাকা দুই যুবক আমাকে ঘিরে ধরে। 

মারধরের একপর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শান্তা আমার পায়ে জোরে চাপ দিয়ে ধরে রাখে আর নিশি আমাকে এক পা দিয়ে চাপা দিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকে। তারা আমার গলায় পাড়া দেয়। একপর্যায়ে আমার গলা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। 

তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম দায়িত্বরত পুলিশ আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে৷ আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। এখন পর্যন্ত আমি শক্ত কিছু খেতে পারছি না, ব্যথা হয়। রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় আমার হাত, পা মাথায় আঘাত লাগে। 

তন্বীর অভিযোগ, দুই ছাত্রলীগ নেত্রী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছেন বলে জানান তন্বী।  নেতারা ব্যবস্থা না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

 

(Visited ৮ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
করোনায় সারাদেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৯৮
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পেপসির সঙ্গে বিষ খাইয়ে খুন, যুবকের যাবজ্জীবন
চাল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে ১২৫ প্রতিষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের সাথে পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ