ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে কারাবাস শেষে পাঁচ নারীসহ ১৯ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা-সূতারকান্দি শুল্কবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
বিজিবি জানায়, দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, পুলিশ ও ইমিগ্রেশনের সমন্বয়ে বিজিবি-৫২ দেশে ফিরে আসাদের গ্রহণ করে। এ সময় তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তবে কারো শরীরে করোনা উপসর্গ না থাকায় তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা দিয়ে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক তৎপরতায় ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনারের সহযোগিতায় কারাবরণকারীদের দেশে আনা হয় বলে জানা গেছে। তবে বিজিবি এক্ষেত্রে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রহণকালে বিজিবি-৫২’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দালাল চক্রের সাহায্যে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের প্রস্তুতিকালে বৃহস্পতিবার ভোরে সাতক্ষীয়ায় পাসপোর্ট না থাকা ২২ বাংলাদেশিকে আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার বাশদহ ইউনিয়নের কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ ঘটনায় পাচারকারী চক্রের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পাচারকারী চক্রের সহযোগী ভ্যানচালক মোখলেছুরের স্ত্রী নাসিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
আটকদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে নড়াইলের ১৫, খুলনার তিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই এবং রংপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার একজন করে আছেন।