দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পারিবারিক কোলহের জের ধরে হাঁসি নামের এক ৫ বছরর কন্যা শিশুকে হত্যা করেছে শিশুটির আপন মা। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার বিকালে শহরের গুলপাড়া মহল্লায়।
এলাকাবাসী জানায়, দুপুরের কোন এক সময় শিশুটির মা রত্না বেগম তার মেয়েকে গলা টিপে বা মারপিট করে হত্যা করে। মহল্লার মানুষজন যখন মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ব্যস্ত, রাস্তায়ও লোকজনের চলাফেরা কম ঠিক সেই মুহুর্তে হত্যাকারী মা হাসিকে ঘাড়ে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে আসে। বিকেল ৫টায় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিসৎক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হত্যাকারী রত্না বেগম অকপটে স্বীকার করে বলেন, নিহত শিশু হাসিকে অবৈধ সন্তান বলে তার স্বামী হাসিনুর রহমান তাকে প্রায়ই মানষিক নির্যাতন করতো। আজ শুক্রবার দুপুরে মোবাইল ফোনে কল করে হাসিকে গলা টিপে হত্যা করার কথা বলে তার স্বামী। শিশুটিকে হত্যা করা হলেই কেবল রত্নার সাথে ভালোভাবে সংসার করবে বলে জানায় হাসিনুর। হত্যাকারী রত্নার আপন ভাইও এধরনের অভিযোগের কথা মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেন।
এদিকে এলাকাবাসীও জানায়, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। রত্নার স্বামী ঢাকায় চাকরী করে এবং সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ যায়নি। পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মাখলপছুর রহমান জানায়, আমি বিষয়টি জানিনা। কেউ থানায় জানায়নি। জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে।