বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাইবার গবেষণা ইউনিট বিজিডি ই-গভ সার্ট অনলাইনে শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবারো সাইবার হামলার লক্ষ্যে নতুন একটি ম্যালওয়ার ছড়িয়েছে সাইবার দুর্বৃত্তরা।
সিআইআরটি জানিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশের শীর্ষস্থানীয় এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে।
এটিকে উচ্চ হুমকির হামলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
তথ্য হাতিয়ে নিতে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সেবার অনলাইনে হানা দেয়া নতুন এই ফিশিং ম্যালওয়্যারটি কাসাব্লাঙ্কা ঘরানার। দেশের সাইবার খাতে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা এই ইউনিটটি কয়েকদিন ধরে সরকারের করোনা ওয়েবসাইট, বিকাশ, বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ইসলামি ব্যাংকে হানা দেয়ার আলামত পেয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখনই কোনো আর্থিক লাভের জন্য এই হামলা চালানোর ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে ভবিষ্যতে এটি মারাত্মক হুমকির হতে পারে, যা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি বা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এছাড়া হ্যাকাররা সরকারের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের আদলে ভুয়া ওয়েব পোর্টাল তৈরি করে মানুষকে টিকার বিষয়ে বিভ্রান্ত করতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
সিআইআরটি সাইবার হামলার শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সকল কর্মী, গ্রাহক ও ভোক্তাদের সচেতনতাসহ সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে।
উচ্চ ঝুঁকির এই ফিশিং কার্যক্রম বিষয়ে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিডি ই-গভ সার্ট।
সাইটটি ঝুঁকিতে থাকা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, গ্রাহকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল সরকার।
তার আগে গত অগাস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর উপর সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সেই সতর্কতার অংশ হিসেব অনেক ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করেছিল। আবার কোনো ব্যাংক রাতে এটিএম বুথ বন্ধ রেখেছিল। তবে কোনো সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেনি।