২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

পাপুলের স্ত্রী-কন্যার নথি জালিয়াতি, তদন্তের নির্দেশ

কুয়েতে দণ্ডিত লক্ষ্মীপুরের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সাংসদ সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের আগাম জামিনের আবেদনে ব্যাংকের নথি জালিয়াতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। দুই মাসের মধ্যে এ তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

খুরশীদ আলম বলেন, আগাম জামিন আবেদনে নথি জালিয়াতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দুই মাসের মধ্যে দুদক সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াফা ইসলাম এবং তদবিরকারক হাফেজ আহমেদসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রতিবেদন দেবেন।

২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে গতবছর ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক। এ মামলায় গতবছর ২৬ নভেম্বর তারা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।

এর মধ্যে পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ের আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। তবে তাদের আবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নথি জমা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের একটি শাখায় হিসাবে অর্থ পাচারের সংঘটিত হতে পারে মর্মে প্রতীয়মান হয়নি।

বিষয়টি আদালতের নজরে আসায় ওই নথিতে স্বাক্ষরকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. আরেফিন আহসান মিঞাকে তলব করে সুয়োমোটো রুল জারি করেন। তিনি হাজির হয়ে বলেন, এ নথিতে টেম্পার্ড করা হয়েছে। তবে পাপুলের স্ত্রী-কন্যার আইনজীবীর দাবি এ নথি এনআরবি ব্যাংক তাদের সরবরাহ করেছে।

এরপর আদালত এনআরবি ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। ১২ জানুয়ারি এনআরবি ব্যাংক জানায়, তারা এ ধরনের নথি দেননি। এরপর আদালত এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব নথি তলব করেন। এ আদেশ অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংক নথি দাখিল করেন।

নথি উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আদালতে বলেন, জামিন আবেদনে দেওয়া নথির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নথির মিল নেই। জামিন আবেদনে যা দাখিল করা হয়েছে, তা জালিয়াতি হয়েছে। এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তার তদন্ত হওয়া দরকার।

শুনানিতে জামিন আবেদনকারীর আইনজীবীও বলেন, ওই নথি যদি জালিয়াতি হয়ে থাক্‌ তবে এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা তদন্ত হওয়া দরকার। শুনানি শেষে আদালত ১১ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। সে অনুসারে বৃহস্পতিবার রায় দেন হাইকোর্ট।

গত বছর ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) শহিদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে গ্রেপ্তার করে। কুয়েত সিআইডি তার বিরুদ্ধে সেখানে মানবপাচার ও অর্থপাচারের মামলা করেছে। সে মামলায় চার বছরের সাজা হয় পাপুলের। পাপুল এখন কুয়েতে কারাবন্দি।

(Visited ১২ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

পেপসির সঙ্গে বিষ খাইয়ে খুন, যুবকের যাবজ্জীবন
পদ্মা সেতু উদ্বোধনে দাওয়াত পেলেন প্রধান বিচারপতিসহ সব বিচারপতি
পৃথক দুই মামলায় হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ৩ যুবকের ফাঁসি
তারেকের স্ত্রী জোবায়দাকে পলাতক ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ
দুদকের মামলায় কাল আত্মসমর্পণ করবেন সম্রাট
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন : দুদকের
ল’ ইয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জমকালো এক দশক উদযাপন