১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মাতৃভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মাতৃভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। দেশের প্রতিটি অর্জনেই বাঙালি জাতিকে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না, যেতে পারে না। আমরা তা হতে দেব না। স্বাধীনতার সুফল আমরা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, প্রত্যেক মানুষের জীবনকে উন্নত ও অর্থবহ করবো- একটি মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না, প্রত্যেকের ঘরে আলো জ্বালবো- এটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার।

সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মাতৃভাষার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জন এবং স্বাধীনতাপরবর্তী মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিস্তারিত তথ্য অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা স্পেশাল ব্রাঞ্চের লেখা রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশিত মহামূল্যবান গ্রন্থগুলো সবারই পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে নয়, বিরুদ্ধে লেখা সব রিপোর্ট। পৃথিবীর কোন দেশের কোন নেতার বিরুদ্ধে ৪৬টি ফাইলে প্রায় ৪৬ হাজার পৃষ্ঠাব্যাপী কোন রিপোর্ট লেখার ইতিহাস কোথাও নেই। আর এই রিপোর্টেই মাতৃভাষার জন্য বঙ্গবন্ধু কী কী করেছিলেন, কীভাবে ভাষা-সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেছিলেন, আর এই সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার গ্রেফতার হন- এসব রিপোর্ট থেকেই সত্য ইতিহাসের মহামূল্যবান তথ্য সবাই জানতে পারবেন। ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানতে হলে এসব রিপোর্ট পড়লেই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। আর যারা ভাষা নিয়ে গবেষণা করছেন তাদেরও এই রিপোর্টগুলো অনেক সহায়ক হবে।

দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্তে প্রারম্ভিব বক্তব্যে দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। গণভবন প্রান্ত থেকে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা শহীদ থেকে শুরু করে একাত্তর ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ দুটি ঐতিহাসিক দিবস উপলক্ষে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিলেও করোনার কারণে তা পালন কতে পারছি না। তবে আমরা এ দুটি দিবসকে সামনে রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন, ভূমিহীন বা ঠিকানাহীন থাকবে না। সবার জন্য আমরা একটি ঠিকানা করে দেব, ঘর নির্মাণ করে দেব। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে আলো জ্বালবো, বিদ্যুত পৌঁছে দেব। জাতির পিতার নেতৃত্বে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতার সুফল আমরা প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব, তাদের জীবনকে আরও উন্নত-অর্থবহ করে গড়ে তুলবো। শহীদের রক্তকে আমরা বৃথা যেতে দেব না।

দেশের মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ এবং টিকা গ্রহণের পরও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, সবাই টিকা নেবেন। টিকা নেবার পরও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ এখনো করোনার ভ্যাকসিন পায়নি। আমরা আগাম ব্যবস্থা নিয়েছিলাম বলেই টিকা আনতে পেরেছি এবং মানুষ এ টিকা গ্রহণ করছেন। এই করোনাভাইরাস কতদিন থাকবে এবং টিকার কার্যকারীতা কতদিন থাকবে- তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলুন, সবাই মাস্ক পড়বেন এবং ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোবেন। ইনশাআল্লাহ, এই মহামারী থেকেও আমরা মুক্তি পাব।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যাপরবর্তী দেশে অবৈধ ক্ষমতা দখলের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালির জীবনে যদি ১৫ আগস্ট না আসতো, তবে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত-সমৃদ্ধশালী হিসেবে গড়ে উঠতো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরবর্তী দীর্ঘ সময় যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতো না, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে, গণহত্যাসহ বঙ্গবন্ধুর খুনীরাই মূলত ক্ষমতায় ছিলো। তারা দেশের জনগণের ভাগ্যে পরিবর্তন নয়, বরং নিজেদের ভাগ্য গড়তেই ব্যস্ত ছিল। তারা দেশকে সামনে নয়, অনেক পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছিলো।

বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ আগস্টসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, রক্তের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা অর্জন করেছি। একটি জাতির অস্তিত্বই হচ্ছে তাদের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি। পাকিস্তানী হানাদাররা সেটির উপরই প্রথম আঘাত হেনেছিল। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র ছিলেন তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিব। তিনি এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন, ভাষা আন্দোলনের জন্য ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনসহ ধারাবাহিক সংগ্রাম শুরু করেন। এরজন্য তাঁকে বারবার গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হয়।

দেশের প্রতিটি অর্জনেই বাঙালি জাতিকে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ করতে হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা সরকারে থাকতে কানাডা প্রবাসী সালাম ও রফিক নামের দু’জন প্রবাসী বাঙালির ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের মানুষ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছে। যদি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে না পারতাম, তবে এ মর্যাদা ও সম্মান পেতাম না। এ সময় জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রদানের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেই জাতিকে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধানেই বাঙালির মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার কথা উল্লেখ রয়েছে। কারণ এদেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে মুক্ত করতেই জাতির পিতা নিজের জীবনকে পর্যন্ত উৎসর্গ করে গেছেন। নিজের জীবনের দিকে কোনদিন তাকাননি। দেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হবে, দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে- এটাই ছিল তাঁর আজীবনের স্বপ্ন। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

দেশের দেশের প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দিয়ে তাদের নিজস্ব একটা ঠিকানা করে দেওয়ার বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ অনুসরণ করেই দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতাই প্রথমে গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষদের মাঝে খাস জমি বিতরণসহ পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না, সবার জন্য আমরা একটা ঠিকানা করে দেব।

১৯৯৬ সাল থেকে মাঝে ৫ বছর বিরতী শেষে এ পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বাধীন চার দফা মেয়াদে দেশের ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৩ জন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে নিজস্ব ঠিকানা দেওয়ার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করি বলেই এতো বিপুল সংখ্যেক ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে আমরা ঘর তৈরি করে দিয়েছি। দেশের সবচেয়ে অবহেলিত কামার-কুমার-জেলে, বেদে-হিজড়া, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, কুষ্ঠরোগীসহ সর্বস্তরের অসহায় মানুষকে আমরা পুনর্বাসন করে যাচ্ছি। দেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না, সবার ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুত পৌঁছে দিয়ে আলো জ্বালবো।

খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমাদের ভাষার মর্যাদা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। শুধু দেশের নয়, সারাবিশ্বের ছোট-বড় সব দেশের মাতৃভাষার সংরক্ষণ, গবেষণার জন্য আমরা মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিলো। আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্মাণ কাজ শেষ করি এবং সেখানে ভাষা জাদুঘরও নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে বিশ্বের অসংখ্য দেশের মাতৃভাষা সংরক্ষণ করেছি, এবার থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকও দিতে শুরু করেছি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পাওয়ার পর আমাদের দায়িত্বও অনেক বেড়ে গিয়েছে ছোট-বড় সবার মাতৃভাষা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। এটা আমরা করে যাচ্ছি, যা বিশ্বের মধ্যে একটি দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের রিপোর্ট সংগ্রহ করে তার তথ্যের ভিত্তিতে সিক্রেটস ডকুমেনটস অফ শেখ মুজিব’ খন্ডগুলো দীর্ঘ ২০ বছর পরিশ্রম করে বই আকারে প্রকাশ করার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, যদিও এই তথ্যগুলি একজন নেতার বিরুদ্ধে লেখা ডকুমেন্টস। কারণ এটা হচ্ছে পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের রিপোর্ট একজন নেতার বিরুদ্ধে। সেই ৪৮ সাল থেকেই শুরু করে তারা একাত্তর সাল পর্যন্ত এসব রিপোর্ট করেছে। সেগুলো আমরা বই আকারে প্রকাশ করা শুরু করেছি। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে লেখা রিপোর্ট। এখান থেকেই কিন্তু আমাদের ইতিহাসের অনেক সত্য বেরিয়ে এসেছে।

বিভিন্ন খন্ডে প্রকাশিত এসব রিপোর্ট ভাল করে পড়ার জন্য দলের নেতাকর্মীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে লেখা পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার এসব রিপোর্ট থেকেই ভাষার জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামসহ কী কী করেছেন সব সত্য ইতিহাস সেখানে লেখা রয়েছে। এর ভেতর থেকে সত্য ইতিহাসের মহামূল্যবান তথ্য সবাই জানতে পারবেন। ভাষার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের সত্য ইতিহাস জানতে হলে এসব রিপোর্ট পড়তে হবে।

(Visited ৮ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
চাল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে ১২৫ প্রতিষ্ঠান
ঈদে বাড়ি যেতে মানতে হবে ১২ নির্দেশনা
মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, না মানলে শাস্তি
বাড়ছে করোনা আসছে কঠোর নির্দেশনা!
মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতু সাঁতরে মঞ্চে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলল কিশোরী
মাদারীপুর শিবচরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী