আজ সকাল শাহবাগে ‘বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন’ তাদের তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এক প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ দাবি জানান।
তাদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- এক. পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকদের ‘ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি’ সমমান না করা, দুই. বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের অধীনে প্যাশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের নার্স হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়া, তিন. গত ৫ ফেব্রুয়ারি ব্যাচেলর অব নার্সিং সায়েন্স, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারির ছাত্র-ছাত্রীদের নির্ধারিত কম্প্রিহেনসিভ লাইসেন্সিং পরীক্ষার স্থগিতাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে কারিগরিমুক্ত কম্প্রিহেনসিভ লাইসেন্সিং পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি লিজা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মো. মামুন হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সাংবাদিকদের সাথে সম্মুখ আলাপকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের সব শর্ত (শিক্ষাগত যোগ্যতা জেলা কোটা ও শারীরিক যোগ্যতা) পূরণ সাপেক্ষে ও মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নার্সিং কোর্সে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করেন। কোর্স সমাপ্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই কেবল কাউন্সিলের কম্প্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং/প্রি রেজিস্ট্রেশন) দায়িত্ব পালনের বৈধ নার্স হিসেবে বিবেচিত হয়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, কিন্তু দু:খের বিষয় হলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি স্বতন্ত্র পেশা হিসেবে প্রচলিত হলেও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বিশেষ ক্ষেত্রে চতুরতার মাধ্যমে স্বাস্থ বিষয়ক খাতের নার্সিং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। যা একদিকে যেমন দেশের জনগণকে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে নার্সিং শিক্ষা ও সার্ভিসের মান বিনষ্টের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একই দাবিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন দিনব্যাপী কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি আজকের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ঘোষণা করেছে নবগঠিত নার্সিং সংগ্রাম পরিষদ।