সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়নি বিগত ১০ বছরেও।
আর কালক্ষেপণ না করে জড়িতদের শনাক্ত, গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) আয়োজনে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর হলো, অথচ এখনও খুনিদের শনাক্ত করে বিচার হলো না। আমরা এই রহস্য উন্মোচনের জোর দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার কারণে মানুষ আজ হাসে। তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে। হত্যার পর খুনিরা সাগর-রুনির বাসা থেকে ল্যাপটপ নিয়ে গেছে। সে ল্যাপটপ উদ্ধার করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে ল্যাপটপে কী এমন তথ্য ছিল, তাও উন্মোচন হয়নি।
বক্তারা আরো বলেন, তদন্ত সংশ্লিষ্টদের অনীহা ও গাফলতি রয়েছে। না হলে ৪৮ ঘণ্টার ঘোষণার পর ৪৮ হাজার ঘণ্টা পার হয়েছে। ১০ বছর অতিবাহিত হয়েছে হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়নি। এখন আর কোনও প্রহসন নয়, আমরা অবিলম্বে সাংবাদিক দম্পতি হত্যার বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রী স্বজন হারানোর ব্যথা বোঝেন। তাহলে কেন আজ সাগর-রুনি হত্যার বিচার হচ্ছে না। তাদের সন্তান ‘মেঘ’ কি বিচার পাবে না! সাগর রুনির হত্যাকারীরা কোন মাফিয়ার আওতায় আছে, তারা কার মেন, তা খুঁজে বের করতে হবে।
তারা বলেন, ১০ বছর হলো, ৭৮ বার আদালত থেকে তদন্ত পেছানো হয়েছে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন। আর কত? র্যাবও এখন তদন্ত থেকে সরে আসতে চাইছে। তাহলে কি আমরা বুঝবো সরকার এর পেছনে রয়েছে! আমরা এখন এই হত্যকাণ্ডের দ্রুত বিচার চাই।
সমাবেশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বশির জামালসহ এইচ এম আল আমিন, জিয়াউর রহমান ও সাগর চৌধুরী প্রমুখ সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।