চাঁদা না দেওয়ায় ফেনীর সোনাগাজীতে দৈনিক ইত্তেফাকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা শরিয়ত উল্যাহর ওপর যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ফেনী প্রেসক্লাব।একই সাথে তিন দিনেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় গভীর উদ্ভেগ প্রকাশ করছে সাংবাদিক নেতারা।
পাশপাশি হামলায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি জহিরুল হক মিলু ও সাধারণ সম্পাদক রাজন নাথ এ প্রতিবাদ জানান।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রেসক্লাব দফতর সম্পাদক মো: সমির উদ্দিন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে গতকাল সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিক সমিতির সদস্য শরিয়তের পরিবারের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ ছিল প্রতিবেশী শহিদ উল্লাহদের। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়িতে যান শরিয়ত উল্যাহ। জানতে পারেন তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করেছে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও স্থানীয় আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব নবী ফরহাদ। হামলায় শহিদ উল্যাহ, মোঃ জসিম উদ্দিন, ওমর ফারুক প্রমুখ অংশ নেন।
“শরিয়তের পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গতকাল সোমবার দুপরে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এক পযায়ে যুবলীগ নেতা ফরহাদের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা শরিয়ত উল্যাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ সময় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাম চোখ ও নাকে জখম কওে সন্ত্রাসীরা।”
এই হামলা প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের ওপর এমন বর্বরতা যেমন সাংগঠনিক সীমালঙ্ঘন তেমনি তা একটি ফৌজদারি অপরাধ। প্রেসক্লাব এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা বিশ্বাস করি স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন।
একই সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করবেন। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে।