সরকারদলীয় কোনো সংসদ সদস্য কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছেন না বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। একজন সংসদ সদস্য স্থানীয় নির্বাচনে তার নির্বাচনী এলাকায় থাকতেই পারেন। মঙ্গলবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে মাদকের অপব্যবহার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার এক কর্মশালায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
কুমিল্লার সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেননি। নিজবাড়িতে তার অবস্থান করা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। এ নিয়ে ইসির পদত্যাগের দাবি যৌক্তিক নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
এ সময় হানিফ বলেন, সরকারদলীয় কোনো সংসদ সদস্য কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে না। বিএনপির কাছে সরকার বিরোধী বা নির্বাচন কমিশন বিরোধী কথা বলার কোনো ইস্যু নেই। তাই কোনো একটা ঘটনা পেলেই তার সঙ্গে মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তারা।
হানিফ বলেন, বিএনপির সামনে সরকার বিরোধী কিংবা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কথা বলার কিছু নেই। সে কারণেই ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার আপোষ বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন ওই সময় শেখ হাসিনা অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি অবৈধ সরকারের সঙ্গে আপোষ করেননি বলেই তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হয়েছিলেন পরে। অতএব আপোষ কারা করেছিল তা দেশবাসী জানে।
এই সময় হানিফ আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আমেরিকা, মিয়ানমার, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মাদকের ঢেউ বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে ঘর থেকে আন্দোলন শুরু করতে হবে। মাদকের সঙ্গে অনেকেই জড়িত আছে। এসব তথ্য পুলিশকে দিলে তারা ধরে অনেককে আইনের আওতায় আনছে, অনেকে ছাড় পেয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর অনেকে সাত দিনের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছে। এগুলো আগে আমাদের পয়েন্ট আউট করতে হবে। আইন কঠোর না হলে মাদক নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন, সামাজিক আন্দোলন এবং কঠোর আইনের মাধ্যমে মাদক নির্মূল করতে পারি জানিয়ে হানিফ বলেন, অনেক শিক্ষার্থী মাদকে জড়িয়ে যাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। তাহলে বেকার সমস্যা ও মাদক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।
মাদক শুধু বাংলাদেশেই নয়, সমগ্র বিশ্বে মাদক সমস্যা রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যারা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাযহারুল আলম সুমন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাজী রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।