৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শ্রীলঙ্কা নতুন অস্ত্রে শান দিচ্ছে বাংলাদেশকে ঘায়েল করতে

ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য সব সময়ই একটা অস্ত্র ব্যবহার করে শ্রীলঙ্কা। স্পিন। স্পিনের মায়াবী ঘূর্ণি দিয়েই প্রতিপক্ষের নাভিঃশ্বাস তুলে ফেলে লঙ্কানরা।

কিন্তু করোনার মধ্যে নিজেদের চিরাচরিত অস্ত্রে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে লঙ্কানরা। করোনার পর বাংলাদেশের বিপক্ষেই প্রথম সিরিজ শ্রীলঙ্কার। সেই সিরিজকে সামনে রেখে নতুন অস্ত্রে শান দিচ্ছে তারা। খবরটি পরিবেশন করেছে শ্রীলঙ্কার অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা আইসল্যান্ড.এলকে।

শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক ও দলীয় ম্যানেজার অসান্থা ডি মেল নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। তিনি বলেন, ‘কখনো কখনো পুরনো ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন করে নতুন কিছুতে আসতে হয়। বাংলাদেশের বিপক্ষেই সেই নতুন কিছুর সূচনা করতে চান তারা। সে লক্ষ্যে চলছে জোর প্রস্তুতিও।’

অসান্থা ডি মেল বলে দিয়েছেন নতুন সেই অস্ত্রটি কি। শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘এখনই সময়, বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্পিন থেকে পেস শক্তিতে পরিবর্তন হওয়া।’ অর্থ্যাৎ, চিরাচরিত স্পিন নির্ভরতাকে পাশে রেখে পেস দিয়েই বাংলাদেশকে ঘায়েল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে লঙ্কানরা।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সিরিজ। তার এক মাস আগে, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা টাইগারদের।

টেস্টে এখনও বাংলাদেশের সামনে একচ্ছত্র আধিপত্য শ্রীলঙ্কার। দুই দেশের মধ্যে টেস্টে মোট ২০বার দেখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬বারই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ১বার মাত্র বাংলাদেশ। ২০১৭ সালেই প্রথম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেবার বাংলাদেশের কাছে হেরে শ্রীলঙ্কার কোচের দায়িত্ব হারান গ্রায়েম ফোর্ড।

বাংলাদেশের বিপক্ষে স্পিনের চেয়ে পেসের ওপর নির্ভরশীল হওয়াটাই সম্ভবত লঙ্কানদের জন্য সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কারণ, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পেসের চেয়ে স্পিনেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন বেশি। যে কারণে শুধুমাত্র দিলরুয়ান পেরেরা ছাড়া অন্য কোনো স্পিনারকে বাংলাদেশের বিপক্ষে দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সানডে আইসল্যান্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অসান্থা ডি মেল বলেন, ‘আমাদের চিন্তা এবং পরিকল্পনা হচ্ছে তাদেরকে (বাংলাদেশ) পেস দিয়েই হারানো। এটা অবশ্যই স্পিন দিয়ে নয়। কারণ, বাংলাদেশের এমনিতেই বেশ ভালো স্পিন অ্যাটাক রয়েছে। তাদের ব্যাটসম্যানরাও স্পিনে ভালো খেলে। অন্যদিকে আমাদের বেশ কয়েকজন ভালো পেসার রয়েছে। সুতরাং, এখনই সময়- আমাদের শক্তিকে কাজে লাগানোর। এমনকি আমরা স্কোয়াডে ৫ জন পেসারও রাখতে পারি। এটা কোচও আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। আমাদের পরিকল্পনাও এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।’

আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ২৩ জনের একটা পুল করা হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের পর লম্বা একটা বিরতি গেছে। এরপর এখন শুরু হবে ক্রিকেটারদের অনুশীলন। অসান্থা ডি মেল ইঙ্গিত দিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকজন ভালো পারফরমারের কথা।

অসান্থা ডি মেল বলেন, ‘মিনোদ ভানুকা খুবই সম্ভাবনাময়। সে খুবই আক্রমণাত্মক একজন ক্রিকেটার। আক্রমণাত্মক মানসিকতার এমন কাউকে দেখাটাও যেন সৌন্দর্য্য। এছাড়া ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা সান্থুশ গুনাথিলাকাও একজন সম্ভাবনাময়ী খেলোয়াড়। তার পেস এবং বাউন্স বেশ কার্যকরী হবে। একই সঙ্গে ব্যাটিংটাও বেশ ভালো করে সে। এছাড়া রয়েছেন লাহিরু উদারা- সেও বেশ সম্ভাবনাময়ী। আমরা চিন্তা করছি স্কোয়াডে এসব তরুণকে নিয়ে আসবো। তাহলে তারা নিজেদের প্রকাশ করার সুযোগটা পেয়ে যাবে। কোচের সঙ্গে মিলে আমরা অনেক ঘরোয়া ক্রিকেট দেখেছি। তারা যা করেছে, সেটা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। কারণ, ঘরোয়া ক্রিকেটে তৈরি করা হয়েছে খুব পেস বান্ধব ট্র্যাক, যেখানে তারা নিজেদের মেলে ধরেছে।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি এখনও প্রকাশ করেনি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। তবে, এটা নিশ্চিত, সফরে দুই দল মুখোমুখি হবে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে।

(Visited ১০ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

২ পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মালয়েশিয়াকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ
‘পদ্মা ব্রিজ ড্রিম ফুলফিলড’ টেস্ট সিরিজ
অ্যান্টিগায় ৩১০ রানে ইনিংস ঘোষণা টাইগারদের
ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফি ঢাকায়
কে হচ্ছেন বাংলাদেশ দলের নতুন টেস্ট অধিনায়ক
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মুমিনুল
উইন্ডিজ সফরে হেরাথের স্পিন দায়িত্বে সামলাবেন ডমিঙ্গো-সুজন