ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী পৌর কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারী না থাকায় বেহাল দশায় ফেনীর সুলতানপুরে ৫৩ বছর পূর্বে স্থাপিত কবরস্থানটি। পরিণত হয়েছে গো চরন ভূমিতে। সীমানা প্রাচীর ও আলো না থাকায় সন্ধ্যা হলেই চোর ছিনতাইকারী ও মাদক সেবনকারীদের মিলন মেলায় পরিনত হয় কবরস্থানটি। ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকায় ১৯৬৬ সালে তৎকালীন ফেনীর মহকুমা হাকিম এ জেড খান (সিএসপি)তৎকালীন মুসলিম ভেরিয়েল বোর্ড ফেনীর মালিকানাধীন মুসলিম কবরস্থানটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তিতে এটি ফেনী পৌরসভার মালিকানা ও নিয়ন্ত্রনাধীন পৌর কবরস্থানে পরিনত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কবরস্থানের সীমানার ভেতর স্থানীয়রা গরুর চারণ ভূমি হিসেবে সেখানে তাদের গরু লালন পালনের জন্য অস্থানী বাথান নির্মান করেছেন। স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে যানা যায়, প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪-৫জন অজ্ঞাত মরহেদ এখানে দাফন করা হয়। কিন্তু মরদেহ দাফনের কোন নিয়মনীতি পালন করা হয়না। মরদেহ ফেনী পৌর সভার ময়লার গাড়ীতে করে আনার পরে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মিরা তড়িগড়ি করে দায়সারা ভাবে দাফনের কাজ সম্পন্ন করেন। স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবির জানায়, এখানে কবর দেয়ার যে নিয়ম রয়েছে তা কিছুই মানা হয়না প্রায় কবরই সামান্য মাটি খুড়ে কোন রকম মাটি চাপা দেয়া হয়। মরদেহ গোসল দেয়া হয়না। পরিমান মত বাঁশ বা চাটাই ও দেয়না। দীর্ঘদিন কবরের যায়গা সংস্কার না করার ফলে জোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে এখানকার বেশির ভাগ জায়গায়। সীমানা প্রাচীর না থাকার কারণে দিনের বেলায় গরু ছাগলে বিচরন ও লাইট না থাকার কারণে এখানে সন্ধ্যার পরে মাদক সেবিদের আড্ডায় পরিণত হয়।
ফেনী পৌরসভা কবরস্থানের রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা মো. আলী জানান, দীর্ঘদিন কবরের জায়গা সংস্কার না করার ফলে ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে এখানকার বেশির ভাগ জায়গা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। গোসলের প্রসংঙ্গে বলেন, এখানে পানির ব্যবস্থা নেই, লাশের খাটিয়া নেই, আমি একা তাই সম্ভব হয়না। তিনি আরো জানান, কখনো কখনো জানাযার নামাজের জন্য লোক পাওয়া যায় না, তাই অনেক সময় জানাজা দিতে পারি না।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ফেনী পৌর মেয়র হাজী আলাউদ্দিনকে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।