নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ নিয়ে ভয়ংকর মিথ্যাচার করেছেন বাংলাদেশি নারী প্রিয়া সাহা। সে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ নিয়ে সরকারের উচ্চ মহল থেকে শুরু করে দেশের সকল মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। একই সাথে প্রিয়ার সাহার এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গী হওয়ায় তার স্বামী মলয় সাহাকেও অতিদ্রুত চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের প্রতি।
এদিকে প্রিয়া সাহা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং অমূলক বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম। আজ শনিবার (২০ জুলাই) বেলা ১১টায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে রয়েছে। সম্প্রতি প্রিয়া সাহা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং অমূলক। দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তিনি এই কাজটি করেছেন।
প্রিয়া সাহার ভিত্তিহীন অভিযোগ সম্পর্কে কমিশনার আরও বলেন, প্রিয়া সাহাকে দ্রুত আইন প্রক্রিয়ায় আনতে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শতক জমি কেউ কেড়ে নিয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে, কোনো ধর্মীয় কর্মকান্ড পালনে বাধা দেয়া হয়েছে এরকম কোনো উদাহরণ নেই। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির বিশ্বের বুকে অনন্য এক দৃষ্টান্তের দেশ।
কমিশনার বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে রিফাত হত্যা, বিচারকের কক্ষে খুন, ধর্ষণ-এসব আমাদের আমাদের উদ্বিগ্ন করে। তবে দেশে অপরাধ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ছিনতাই, রাহাজানি, টেন্ডারবাজি, মলমপার্টিসহ সকল সংঘটিত অপরাধ নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে বা দু একজন অপরাধীকে নির্মূল করে সহিংস উগ্রবাদ বা জঙ্গীবাদ নির্মূল করা সম্ভব নয়। জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে হলে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরি করা। ধর্মের খন্ডিত ব্যাখ্যা দিয়ে যাতে দেশে কেউ আর হলি আর্টিসানের মত ঘটনা না ঘটাতে পারে সে বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে যুক্তিতর্কে সংযুক্ত করায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমিশনার বলেন, সহিংস উগ্রবাদ দমনে রাজনৈতিক সদ্বিচ্ছা নিয়ে বিতর্কে ক্ষুরধার যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে চমৎকারভাবে উভয় দলই স্বপক্ষের যুক্তি খন্ডিয়েছেন। বাস্তবিক পার্লামেন্টের মত ছায়া পার্লামেন্টের পরিবেশটা তৈরি হয়েছিল। সেই সাথে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ধ।