নিউজ ডেস্ক:
এখন থেকে রেকারিং ও প্রসিকিউশনে কোনো নগদ টাকায় জরিমানা পরিশোধ বা লেনদেন হবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, মটরযান সংক্রান্ত ট্রাফিক বিভাগের মামলা অন্যান্য জরিমানা প্রদানে অনেকটা সহজ পদ্ধতি হাতে নিয়েছে পুলিশ। ব্যাংকিং কার্ড থেকে অল্প সময়ে পরিশোধ করা যাবে জরিমানার টাকা।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর কাকরাইল রাজমনি ক্রসিংয়ে ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ককথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পূর্বে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার অর্থ ব্যাংকে পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিস থেকে জব্দ ডকুমেন্ট নেয়ার দিন শেষ। এখন থেকে ইউক্যাশ, বিকাশ, রকেটসহ যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং ও ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ট্রাফিকের জরিমানার টাকা অন দ্য স্পট পরিশোধ করা যাবে। ফলে নগরবাসীর মূল্যবান সময় অপচয় হবে না এবং জব্দ ডকুমেন্ট হারিয়ে বা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।
ডিএমপি আরও কমিশনার বলেন, আজ (৪ আগস্ট) থেকে ট্রাফিক ই-প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকা ঘটনাস্থলে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধ করা যাবে। ঢাকা মহানগরীতে গাড়ি রেকারিংয়ে নগদ টাকা জরিমানা নেয়া হয়। এখন থেকে রেকারিং ও প্রসিকিউশনে কোনো নগদ টাকা জরিমানা পরিশোধ বা লেনদেন হবে না। আমরা নগরবাসীর সহযোগিতা চাই, আমরা যেভাবে আপনাদের কষ্ট ও সময় লাঘব করার জন্য কাজ করছি, ঠিক তেমনি নাগরিক হিসেবে আপনারাও দায়িত্ব নিয়ে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। আইন মেনে চললে ট্রাফিকের কাজটা সহজ হবে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জয়দেব চৌধুরী বলেন, আজ থেকেই ই-ক্যাশে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকা দেয়া যাবে। এ সংক্রান্ত সফওয়্যার ট্রাফিক সদস্যদের মাঝে ইনস্টল করা হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যে পুরো সিটিকে এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে তিনি জানান। দৈনিক জাগরণ