ফেনী প্রতিনিধি:
নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামরুন নাহার মনি কিছুদিন আগে মা হয়েছেন। এখন তার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ মনিহসহ নুসরাত হত্যার ১৬ আসামির ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন। পাশপাশি ফেনীর সোনাগাজীর এই বাসিন্দাদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। যা নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মনি হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় তিনিও আসামিদের মধ্যে অন্যতম। এ কারণে তারও সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা থাকায় অবস্থায়ই কিলিং মিশনে অংশ নেন মনি।
গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কারাবন্দি কামরুন নাহার মণির প্রসব বেদনা শুরু হলে দ্রুত তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে রাত সাড়ে ১২টায়, অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর মণির কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, মাননীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন সে রায়টি কার্যকর হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে। কারণ, আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করবেন। পেপারবুক তৈরি হবে এবং এটা আপিল বিভাগে যাবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ফুল কোর্টে শুনানি হবে। এরপর আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। এ প্রক্রিয়াটি আরও অনেক সময় লাগবে। কয়েক বছর লাগতে পারে। এ সময়ের মধ্যে কামরুন নাহার মনির বাচ্চা বড় হয়ে যাবে। বাচ্চা তার পিতার জিম্মায় চলে যেতে পারবে। এবং কামরুন নাহার মনির শাস্তি কার্যকর হতে পারবে।