করোনাভাইরাস মোকাবিলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা পরিপালন না করায় স্বাস্থ্য সচিবসহ চারজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) ও সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেজ ডিপোর (সিএমএসডি) পরিচালক।
রোববার (৩ মে) হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ তাদের সরকারি ই-মেইলে এ নোটিশ পাঠান।
মনজিল মোরসেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারি ঘোষণার পরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকার বিষয়ে গত ২২ মার্চ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর এর আদালত রুল জারি করেন। আদালত অন্তর্বর্তী আদেশে স্বাস্থ্য সচিবকে দ্রুত ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন এবং কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পিপিই, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, সার্জিক্যাল মাস্ক, গাউন, সু-কভার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা যন্ত্রপাতি ও মেডিসিনের তালিকা করতে নির্দেশ দেন। আদালত উক্ত তালিকা অনুসারে সকল উপাদান অবিলম্বে সংগ্রহ করে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক/নার্স/কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন। অপর আদেশে আদালত সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৮ এর ৬ ধারা অনুসারে উপদেষ্টা কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন। আদালতের উক্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে পালিত না হওয়ায় এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পর্যাপ্ত পিপিই, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, সার্জিকাল মাস্ক, গাউন, সু-কভার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা যন্ত্রপাতি এর পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাব রয়েছে বলে বিভিন্ন স্তরে ডাক্তার/নার্সদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি আইনের ৬ ধারা অনুসারে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের বিষয় কোনো সংবাদ এখনো মিডিয়ায় আসেনি। আদালতের আদেশ যথাযথভাবে পালিত না হওয়ায় প্রায় ৩০০ এর উপরে ডাক্তার/স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে তারা দায় এড়াতে পারেন না।’
নোটিশে তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায়, আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান আইনজীবী।