ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে ভিয়েতনামে মানবপাচারকারী কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানী (মাসা) গ্রেফতার হয়েছে। তার বাড়ি ফুলপুরের তিতপুর গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দালাল চক্রের মাধ্যমে ৪ বাংলাদেশী ভিয়েতনাম পাড়ি জমিয়ে ৫ মাস যাবৎ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। উচ্চ বেতনের চাকুরি দেয়ার প্রলোভনে ফুলপুরের মোকছেদুল ইসলাম (২৮), আকরাম হোসাইন (৩৩), মোরসালিন মিয়া(২২) ও এরশাদ আলীকে (২০) টার্গেট করে স্থানীয় এক দালাল তাদের কাছ থেকে মোট ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিয়েতনাম পাঠায়। বর্তমানে ঐ চারজন ভিয়েতনামে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে এবং মানবতর জীবন যাপন করছে মর্মে বাংলাদেশ পুলিশের ফেইসবুক পেইজে একটি পোষ্ট করে।
ঐ ফেইসবুক পোষ্টটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স গুরুত্ব বিবেচনা করে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারকে তথ্য প্রদান করেন।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান,ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে দালাল চক্রকে সনাক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থ্ গ্রহণের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে তিনি পরিকল্পনা করে চৌকুস টিম নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে দালালচক্রকে সনাক্ত করে।
শনিবার (২৭জুন) দালাল চক্রের অন্যতম হোতা কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানীকে (মাসা) (৩৬) গ্রেফতার করে। সে ফুলপুরের তিতপুর গ্রামের কাজী শিব্বির আহম্মেদের ছেলে।এই ঘটনায় পাচারকৃতদের আত্বীয় ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ফুলপুর থানার মামলা দায়ের করেন।
রবিবার (২৮জুন) গ্রেফতারকৃত মানবপাচারকারীকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।