নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ এক বছর আগে দুইবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।দেলোয়ার বাহিনীর দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করে।মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দলের কাছে এই কথা জানান ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।
মঙ্গলবার মানবাধিকার কমিশন তদন্ত দলের কাছে এক জবানবন্দিতে তিনি এ কথা জানান।ওই গৃহবধূ তদন্ত দলকে আরও জানায়, দেলোয়ারের ভয়ে তিনি এ কথা এর আগে এতদিন কাউকে বলেন নাই। এর আগে গত রোববার ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
গৃহবধূর স্বজনরা জানায়, স্বামী অন্যত্র বিয়ে করায় বেগমগঞ্জে বাবার বাড়িতেই থাকতেন নির্যাতনের শিকার নারী। দীর্ঘদিন পর গত ২ সেপ্টেম্বর স্ত্রী’র সাথে দেখা করতে আসেন স্বামী।এ সময় অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে গৃহবধূকে মারধর করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। বিবস্ত্র করে ধারণ করে ভিডিও।এমনকি এ সময় ওই গৃহবধূর স্বামীকে বেঁধে রেখে আসামিরা তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ারসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জানা যায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় নাম আসা দেলোয়ার ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো এলাকাবাসী। হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিলো বাহিনী প্রধান দেলোয়ার।স্থানীয়দের অভিযোগ রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াতো তারা।
হত্যাসহ ৪টি মামলা থাকারও পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলো দেলোয়ার।স্থানীয়রা জানায়, রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা ছিলো দেলোয়ার,বাদল, রহিমদের।ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পেতো না কেউ।