গাইবান্ধা সদর উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি আত্মহত্যা না হত্যা তা নিশ্চিত করতে পারেননি কেউই। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত সুমাইয়া আক্তার সাদিয়া (১৪) উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পিয়ারাপুর গ্রামের ছাদেকুর রহমানের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাতে সাদিয়া তার দাদার বাড়িতে গিয়ে ফুফুর দুই বিছানাসম্পন্ন একটি ঘরে ঘুমায়। দিবাগত রাতে তার ফুফু পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে পরা সাদিয়াকে ঘরের ধর্ণার সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই মৃত্যুর প্রাথমিক কোন আলামত পাওয়া গেছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এটি আত্নহত্যা হতে পারে। তবে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা’।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদিয়া ঘটনার দিন সন্ধায় বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির বাহিরে গিয়ে ঘোরাঘুরি করলে তার বাবা-মা তাকে বকাবকি করে। এতে সে রাগ করে ঘর হতে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী দাদার বাড়িতে চলে যায়। সেখানেই সে সবার অজান্তে দাদীর ঘরের ধর্ণার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করে।
তবে তারা আরও জানান, পার্শ্ববর্তী এক ছেলের সাথে সাদিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল কয়েকবার। বৃষ্টির সময় দুই ঘন্টা বাড়ির বাহিরে থাকার কারনেই সাদিয়াকে সেদিন রাতে পরিবারের সবাই শাসন করেছিল।
এছাড়া সাদিয়ার শরীরে আত্নহত্যারও কোন স্পষ্ট ছাপ নেই, তাই আত্নহত্যা না করে অন্যকোন কারনেও তার মৃত্যু হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।