উপসাগরীয় সংকট সমাধানে কাতারের সঙ্গে আকাশ, ভূমি এবং জলসীমা পুনরায় খুলে দেয়ার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রস্তাবে সোমবার সম্মত হয় সৌদি আরব।
উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) বার্ষিক সম্মেলনে মঙ্গলবার সৌদি আরব পৌঁছালে কাতারি আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে কোলাকুলি করেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
উষ্ণ অভ্যর্থনা কাতারের সঙ্গে তার উপসাগরীয় প্রতিবেশীদের দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংকট সমাধানের ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে মোকাবিলায় আঞ্চলিক জোট গঠনের লক্ষ্যেই নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করছে উপসাগরীয় দেশগুলো।
আনাদোলু এজেন্সিকে ইয়েমেনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুতাহার আল সোফারি বলেন, পুনর্মিলনের চুক্তিকে উপসাগরীয় সংকটের আংশিক সমাধান বলা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক অবরোধ বাস্তবায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র। উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোও চাচ্ছে তেহরানের ওপর আরো চাপ তৈরি করতে, নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং নিজেদের সহায়তায় নিজেরাই এগিয়ে আসতে।
সৌদি আরবের ঐতিহাসিক শহর আল উলায় জিসিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ইরানের হুমকি মোকাবিলার আহ্বান জানান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
তেলসমৃদ্ধ দেশটির এ শাসক বলেন, ইরানের পরমাণু, ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম, বিধ্বংসী এবং ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
জিসিসি সম্মেলন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একীভূত করবে, নিজেদের মধ্যে পুনর্মিলন এবং সংহতি জোরদার করবে বলে বিশ্বাস বিন সালমানের।
তিনি বলেন, অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়া, পারিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে ইরানের পরমাণু হুমকি মোকাবিলার জন্য জিসিসি রাষ্ট্রগুলোর নিজেদের শক্তির একীভূতকরণ অত্যন্ত জরুরি।
সম্মেলনে সংকট সমাধানের জন্য একটি চুক্তিতে সই করেছেন উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতারা। তবে চুক্তির বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।