প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ায় আবারো বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক প্রেরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে এক বিবৃতি দিয়েছে দেশটির মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। রোববার (১৯ জুন) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে এম সারাভানান জানিয়েছেন, শ্রমিক নিয়োগের ২৫টি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানি বাছাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার বৈঠক এবং আমাদের দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে বর্তমান অবস্থার ব্যাখ্যা ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তার সঙ্গে বৈঠকে বিদেশি শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা এবং আমার মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের উন্নততর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ১৫২০টি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানির একটি তালিকা দিয়েছিল। তার মধ্য থেকে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় বাছাই করেছে ২৫টি কোম্পানিকে। এই উদ্যোগ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ছিল মাত্র ১০টি কোম্পানি। এই ১০টি কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসা প্রকৃতির কারণে বহু শ্রমিক উন্নত কাজের প্রতিশ্রুতিতে প্রলুব্ধ হয়েছেন এবং উভয় দেশের বিভিন্ন এজেন্সির কাছে তারা জিম্মি থেকেছেন। তাই বিদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ এবং জীবনধারাকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে রিক্রুটমেন্ট কোম্পানির সংখ্যা ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫টি করতে সম্মত হই আমরা। যাতে ২৫টি কোম্পানির ক্ষেত্রে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স কৌশল নিশ্চিত করা যায়। এ জন্য একচেটিয়া ব্যবসা ও এক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য কর্মোদ্যম শ্রমিক পাওয়ার জন্য আরও ভাল উদ্যোগ নেয় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ থেকে দেয়া তালিকা থেকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় আরও ২৫০টি কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়। বাছাই করা এই কোম্পানিগুলো ওই ২৫টি কোম্পানির কাঠামোর অধীনে কাজ করবে। আরো সহজ করে বলা যায়, ২৫টি কোম্পানির প্রতিটি ১০টি করে কোম্পানিকে অনুমোদন দিতে পারবে।